তিনি গনমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আমার ভেতর ঘুষ বানিজ্য থাকলে আপনারা আমাকে বলবেন।” পুলিশ ডিপার্টমেন্ট, বিডিআর ভর্তি নিয়োগে ঘুষ বানিজ্য, পোস্টিং বানিজ্য এগুলো বন্ধ করতে হবে। কিছু দিন আগে পুলিশ কন্সটেবল, এস আই নিয়োগ হলো। আমিকারো ব্যাপারে সুপারিশ করিনি। একটাও দেখাতে পারবেন না। আমি যদি কেউর ব্যাপারে সুপারিশ না করি, তাহলে নিচের লেবেলেও কেউর সুপারিশ করা ঠিক হবে না।
আমাদের আরেকটি সমস্যা হচ্ছে তেল মারা। পুলিশ বাহিনীর অনেক সদস্য আছে, কে ভবিষ্যতে আসবে তাকে তেল দেওয়া শুরু করবে। কিন্তু আমি বলি, যখন তারা পাওয়ারে আসবে তখন আপনার তেল শেষ হয়ে যাবে, আরেকজনের তেল নিয়ে সে আগায় যাবে। এজন্য বলি, আমাদের তেল দেওয়ার দরকার নেই তাদেরকে। তেলটা বাজারেই থাকুক।
আগে আপনারা দেখেছেন, পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দিয়েছে ১০ টা নামে আর বেনামে একশত থেকে তিনশত অজ্ঞাত যাদের কোন নাম ঠিকানা নাই। আর এখন পাবলিকের ভেতর আপনারা একাজ গুলো করছেন। এত নাম দিলে আমাদের তদন্ত করে বের করতে সমস্যা হয় প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করতে। এজন্য পুলিশের আইজি মহোদয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যারা ভুয়া মামলা দিয়ে হয়রানি করবে তাদের কোন অবস্থায় ছাড় দেওয়া হবে না। ভুয়া মামলাকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে। যে দোষী তাকেও কোন ছাড় দেওয়া হবে না।
ট্রাফিক পুলিশের চাকুরী অনেক কষ্টসাধ্য। তাদের খাওয়া, টয়লেট, ঘুম এগুলো সাধারণ মানুষ বোঝে না। তারা চায় রাস্তা ক্লিয়ার। এজন্য আমরা ট্রাফিক পুলিশের সাথে কাজ করার জন্য বাহির থেকে কিছু লোক নিয়োগ দিবো ট্রাফিক পুলিশকে সহায়তা করার জন্য। পুলিশের থাকা ও খাবারের মান অনেক নিন্ম মানের, আরো ভালো হওয়া দরকার।
মাদক একটি বড় সমস্যা। মাদকের প্রবণতা ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। মাদক উন্নয়ন অধিদপ্তরকে হাতিয়ার দেওয়া হবে মাদক নিয়ন্ত্রণের জন্য বলে সভায় জানানো হয়। যতদিন না দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে প্রশাসনের সহায়তা নিতে হবে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন নষ্ট না হয়। আপনারা সবাই চেষ্টা করবেন মাদককে সমাজ থেকে নির্মূল করার জন্য। এজন্য তিনি মসজিদে হুজুরদের খুদবায় মাদকের বিষয় নিয়ে বেশি বেশি আলোচনা করার আহ্বান জানান।
মাদকের পাশাপাশি সমাজে আরেক বড় সমস্যা হলো ঘুষ। ঘুষটা উঠে গেলে দেশের সকল সমস্যা সমাধান হয়ে যেত। আমাদের দেশে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ হলো ঘুষ। প্রতিটি জায়গায় ঘুষ, প্রতিটি পদক্ষেপে ঘুষ। এটা যতদিন না কমে আসবে, আমাদের এ আয়োজন কোন কাজে আসবে না। আমাদের মন মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। হারাম খাওয়া থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।
কিশোর গ্যাং ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মনিটরিং
কিশোর গ্যাংদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সজাক দৃষ্টি রাখতে বলেন।
বাজার সিন্ডিকেট ও ভোক্তা অধিকার
এ সময় তার কাছে খুলনার কালীবাড়ি বড় বাজারে তেল মজুদ করে গোডাউনে রাখা নিয়ে বাজার সিন্ডিকেট সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্ন উত্তরে বলেন, “এ ব্যাপারে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উদ্দেশ্যে বলেন, বাজার সিন্ডিকেট ভেঙে ফেলতে হবে। আর মন থেকে ভাল হতে হবে।”
পুলিশ কমিশনার, এসপি সহ পুলিশ কর্মকর্তারা এখনো অন্য মহলের ইশারায় চলে। এ ক্ষেত্রে স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠনের বিষয়ে প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে দেওয়া হয়েছে।”
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, সরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এনডিসি, পিএসসি। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন, মোঃ রেজাউল হক, পিপিএম, রেঞ্জ ডিআইজি, খুলনা।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পুলিশের আইজি বাহারুল আলম। এছাড়া, সভায় উপস্থিত ছিলেন রিয়ার এডমিরাল গোলাম সাদেক, এসজিপি, এনডিসি, এনসিসি, পিএসসি, কমান্ডার খুলনা নেভাল এরিয়া, মেজর জেনারেল আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকি, ওএসপি, ডিএসপি, এসইউপি, এনডিসি, পিএসসি, এমকিল, মহাপরিচালক, বিজিবি, এ কে এম শহিদুর রহমান, পিপিএম, এনডিসি, পিএসসি, (অতিরিক্ত আইজিপি-১) মহাপরিচালক র্যাব ফোর্সেস, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজহার সিদ্দিকি, এনডিসি, পিএসসি, কমান্ডার ১০৫ ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেড, মোঃ জুলফিকার আলী হায়দার, পুলিশ কমিশনার, খুলনা, কর্নেল সৈয়দ আসাদুজ্জামান, কর্নেল জিএস, ডিজিএফআই, খুলনা, মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক, খুলনা।
সভায় সাগত বক্তব্য: মোঃ ফিরোজ সরকার এসময় সাগত বক্তব্য রাখেন, মোঃ ফিরোজ সরকার, বিভাগীয় কমিশনার, খুলনা।
মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা প্রতিনিধি,
Leave a Reply